Saturday, March 25, 2023
Home Blog

SEO এর নাড়িনক্ষত্র? WordPress এ SEO এর সহজ ব্যাবহার

0
SEO এর নাড়িনক্ষত্র Wordpress এ SEO এর সহজ ব্যাবহার

Search Engine Optimization (SEO) হল নির্দিষ্ট কীওয়ার্ড বা বাক্যাংশের জন্য Search Engine Results Pages (SERPs) উচ্চতর র‍্যাঙ্ক দেওয়ার জন্য একটি ওয়েবসাইট বা ওয়েব পৃষ্ঠাকে অপ্টিমাইজ করার প্রক্রিয়া। SEO এর লক্ষ্য হল একটি ওয়েবসাইট বা ওয়েব পৃষ্ঠার র‍্যাংক এবং র‍্যাংক বৃদ্ধি করা যাতে আরও বেশি ট্রাফিক এবং শেষ পর্যন্ত আরও বেশি গ্রাহক বা ক্লায়েন্ট আকর্ষণ করা যায়।

বিভিন্ন কৌশল রয়েছে যা সার্চ ইঞ্জিন গুলির জন্য একটি ওয়েবসাইট অপ্টিমাইজ করতে ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রকৃয়া গুলির মধ্যে রয়েছে:

  • কীওয়ার্ড রিসার্চ: এতে আপনার ব্যবসার সাথে সম্পর্কিত পণ্য বা পরিষেবাগুলি অনুসন্ধান করার সময় মানুষের সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করতে পারে এমন কীওয়ার্ড এবং বাক্যাংশগুলিকে গবেষণা এবং সনাক্ত করা হয়।
  • অন-পেজ অপ্টিমাইজেশান: এর মধ্যে আপনার ওয়েবসাইটের উপাদানগুলি যেমন টাইটেল ট্যাগ, মেটা ডিস্ক্রিপশন এবং হেডার ট্যাগগুলি অপ্টিমাইজ করা এবং তা নিশ্চিত করার জন্য যে সেগুলি সার্চ ইঞ্জিনগুলির জন্য সঠিকভাবে অপ্টিমাইজ করা।
  • কন্টেন্ট ক্রিয়েশন: আপনার টার্গেট শ্রোতাদের জন্য প্রাসঙ্গিক উচ্চ-মানের, মূল বিষয়বস্তু তৈরি করা SEO এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলির মধ্যে একটি। এতে ব্লগ পোস্ট, নিবন্ধ, ভিডিও এবং ইনফোগ্রাফিক্স অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
  • লিঙ্ক বিল্ডিং: এটির সাথে অন্যান্য ওয়েবসাইট থেকে আপনার নিজের লিঙ্কগুলি অর্জন করা জড়িত। এটি গেস্ট ব্লগিং, লিঙ্ক বিল্ডিং প্রচারাভিযান এবং সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর মাধ্যমে করা যেতে পারে।
  • ইথিক্যাল এসইও: এটি নিশ্চিত করা যে আপনার ওয়েবসাইটটি সঠিকভাবে স্ট্রাকচার্ড এবং সার্চ ইঞ্জিনের জন্য অপ্টিমাইজ করা হয়েছে, তা নিশ্চিত করা সহ এটি মোবাইল-বান্ধব, দ্রুত-লোডিং এবং নেভিগেট করা সহজ।

এসইও করার জন্য, প্রথমে একজনকে কীওয়ার্ড রিসার্চ করতে হবে এবং তাদের ব্যবসা এবং টার্গেটেড ট্রাফিক এর সাথে প্রাসঙ্গিক কীওয়ার্ড সনাক্ত করতে হবে। একবার কীওয়ার্ড শনাক্ত হয়ে গেলে, সার্চ ইঞ্জিনের জন্য সঠিকভাবে অপ্টিমাইজ করা হয়েছে তা নিশ্চিত করতে শিরোনাম ট্যাগ, মেটা বিবরণ এবং হেডার ট্যাগ সহ ওয়েবসাইটের অন-পেজ কন্টেন্ট গুলিকে অপ্টিমাইজ করা গুরুত্বপূর্ণ৷

উপরন্তু, উচ্চ-মানের, আসল সামগ্রী তৈরি করা যা আপনার লক্ষ্য দর্শকদের জন্য প্রাসঙ্গিক SEO-এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এতে ব্লগ পোস্ট, আর্টিকেল, ভিডিও এবং ইনফোগ্রাফিক্স অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। গেস্ট ব্লগিং, লিংক বিল্ডিং ক্যাম্পেইন এবং সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর মাধ্যমে অন্য ওয়েবসাইট থেকে আপনার নিজের লিঙ্ক তৈরি করাও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সবশেষে, ওয়েবসাইটটি মোবাইল-ফ্রেন্ডলি, দ্রুত-লোডিং এবং নেভিগেট করা সহজ কিনা তা নিশ্চিত করা সহ সার্চ ইঞ্জিনগুলির জন্য সঠিকভাবে কাঠামোগত এবং অপ্টিমাইজ করা হয়েছে তা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এসইও এর সুবিধাগুলি অনেক এবং বৈচিত্র্যময়, তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছুগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • Increased visibility: সার্চ ইঞ্জিনের জন্য আপনার ওয়েবসাইট অপ্টিমাইজ করে, আপনি SERPs-এ এর দৃশ্যমানতা বাড়াতে পারেন এবং আপনার সাইটে আরও ট্রাফিক আকর্ষণ করতে পারেন।
  • Increased credibility: SERPs-এ উচ্চতর র‍্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে, সম্ভাব্য গ্রাহকদের দ্বারা আপনার ওয়েবসাইটটিকে আরও বিশ্বাসযোগ্য এবং বিশ্বস্ত হিসাবে দেখা হবে।
  • Increased conversions: আপনার ওয়েবসাইটে আরও ট্রাফিক আকর্ষণ করে, আপনি রূপান্তরের সংখ্যা বাড়াতে এবং শেষ পর্যন্ত আপনার আয় বাড়াতে পারেন।
  • Cost-effective: এসইও হল বিপণনের একটি ব্যয়-কার্যকর রূপ কারণ এটি অনলাইন বিপণনের অন্যান্য ফর্ম যেমন PPC বিজ্ঞাপনের তুলনায় তুলনামূলকভাবে সস্তা।
  • Long-term results: এসইও হল একটি দীর্ঘমেয়াদী কৌশল, এবং এসইও এর সুবিধাগুলি আগামী কয়েক বছর ধরে নেওয়া যেতে পারে।

SEO এর মাধ্যমে WordPress Website অপ্টিমাইজ করার জন্য এখানে কিছু টিপস:

  • SEO-Friendly থিম ব্যবহার: এমন একটি থিম বেছে নিন যা এসইও-এর জন্য অপ্টিমাইজ করা হয়, হাল্কা এবং দ্রুত লোড হয়। এটি নিশ্চিত করবে যে আপনার ওয়েবসাইটটি সার্চ ইঞ্জিনগুলির জন্য ক্রল এবং সূচকের জন্য সহজ।
  • কন্টেন্টে কীওয়ার্ড ব্যবহার: আপনার কনটেন্ট এমন কীওয়ার্ড ব্যবহার করুন যা আপনার ব্যবসা এবং আপনার অফার করা পণ্য বা পরিষেবাগুলির সাথে প্রাসঙ্গিক। এটি সার্চ ইঞ্জিনগুলিকে বুঝতে সাহায্য করবে যে আপনার ওয়েবসাইটটি কী এবং এটি ব্যবহারকারীদের জন্য কীভাবে প্রয়োজনীয়।
  • ছবি অপ্টিমাইজ: আপনার ছবিগুলিকে ছোট করে এবং বর্ণনামূলক ফাইলের নাম ব্যবহার করে অপ্টিমাইজ করুন৷ এটি সার্চ ইঞ্জিনগুলিকে বুঝতে সাহায্য করবে যে ছবিগুলি কী সম্পর্কে এবং কীভাবে সেগুলি আপনার ওয়েবসাইটের সাথে প্রাসঙ্গিক৷
  • ইন্টারনাল লিঙ্কিং: আপনার ওয়েবসাইটের অন্যান্য পৃষ্ঠাগুলিতে লিঙ্ক করতে অভ্যন্তরীণ লিঙ্কিং ব্যবহার করুন। এটি সার্চ ইঞ্জিনকে আপনার ওয়েবসাইটের গঠন এবং এটি কীভাবে সংগঠিত করা হয়েছে তা বুঝতে সাহায্য করবে।
  • ব্যাক লিঙ্কিং ব্যবহার: আপনার ব্যবসা এবং আপনার অফার করা পণ্য বা পরিষেবাগুলির সাথে প্রাসঙ্গিক অন্যান্য ওয়েবসাইটগুলির সাথে লিঙ্ক করতে বাহ্যিক লিঙ্কিং ব্যবহার করুন। এটি সার্চ ইঞ্জিনগুলিকে বুঝতে সাহায্য করবে যে কীভাবে আপনার ওয়েবসাইট অন্যান্য ওয়েবসাইটের সাথে সংযুক্ত এবং এটি ব্যবহারকারীদের সাথে কীভাবে প্রাসঙ্গিক।
  • মেটা ট্যাগ ব্যবহার: সার্চ ইঞ্জিনে আপনার ওয়েবসাইট সম্পর্কে অতিরিক্ত তথ্য প্রদান করতে মেটা ট্যাগ ব্যবহার করুন। এর মধ্যে রয়েছে শিরোনাম ট্যাগ, বর্ণনা ট্যাগ এবং হেডার ট্যাগ।

ওয়ার্ডপ্রেসে এসইও কিভাবে করতে হয় সে সম্পর্কে এখন আপনি ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন, আসুন ওয়ার্ডপ্রেসের জন্য সেরা SEO প্লাগইন নিয়ে আলোচনা করি।

  • Yoast SEO: এই প্লাগইনটি ওয়ার্ডপ্রেসের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বহুল ব্যবহৃত এসইও প্লাগইনগুলির মধ্যে একটি। এটি কীওয়ার্ড অপ্টিমাইজেশান, মেটা ট্যাগ এবং সাইটম্যাপ সহ বিস্তৃত বৈশিষ্ট্য অফার করে।
  • All in One SEO Pack: এই প্লাগইনটি ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহারকারীদের জন্য আরেকটি জনপ্রিয় পছন্দ। এটি Yoast এসইও-এর অনুরূপ বৈশিষ্ট্যগুলি অফার করে এবং এটি ব্যবহারের সহজতার জন্য পরিচিত।
  • SEO by Squirrly: এই প্লাগইনটি ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহারকারীদের জন্য একটি নতুন বিকল্প। এটি কীওয়ার্ড অপ্টিমাইজেশান, মেটা ট্যাগ এবং সাইটম্যাপ সহ বিস্তৃত বৈশিষ্ট্য অফার করে।
  • The SEO Framework: এই প্লাগইনটি তার সরলতা এবং ব্যবহারের সহজতার জন্য পরিচিত। এটি কীওয়ার্ড অপ্টিমাইজেশান, মেটা ট্যাগ এবং সাইটম্যাপ সহ বিস্তৃত বৈশিষ্ট্য অফার করে।
  • SEO Ultimate: এই প্লাগইনটি ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহারকারীদের জন্য আরেকটি জনপ্রিয় পছন্দ। এটি কীওয়ার্ড অপ্টিমাইজেশান, মেটা ট্যাগ এবং সাইটম্যাপ সহ বিস্তৃত বৈশিষ্ট্য অফার করে।

অবশেষে, এসইও একটি চলমান প্রক্রিয়া যার জন্য চলমান প্রচেষ্টা এবং পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন। এই  আর্টিকেলে বর্ণিত টিপসগুলি অনুসরণ করে এবং ওয়ার্ডপ্রেসের জন্য সেরা এসইও প্লাগইনগুলির মধ্যে একটি ব্যবহার করে, আপনি অনুসন্ধান ইঞ্জিন ফলাফল পৃষ্ঠাগুলিতে আপনার ওয়েবসাইটের দৃশ্যমানতা উন্নত করতে পারেন এবং শেষ পর্যন্ত আপনার ওয়েবসাইটে আরও অরগানিক ট্র্যাফিক পেতে পারেন৷

Chat GPT কি? এর মাধ্যমে আয় করার উপায়

0
Chat GPT কি এর মাধ্যমে আয় করার উপায়

Chat GPT ইন্টারনেট এবং প্রযুক্তির জগতে একটি খুব আলোচিত বিষয়। বর্তমান সময়ে মানুষ এটা সম্পর্কে জানতে খুব আগ্রহী। বলা হচ্ছে এটি গুগল সার্চের সাথেও হাড্ডাহাড্ডি প্রতিযোগিতা করতে পারে। Chat GPT আপনার জিজ্ঞাসা করা যেকোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে সক্ষম।

 

চ্যাট জিপিটি কি?

Chat GPT এর পূর্ণরূপ হল Chat Generative Pretrend Transformer। এটি ওপেন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দ্বারা তৈরি করা হয়েছে যা এক ধরনের চ্যাট বট। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে এটি শুধুমাত্র কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপর কাজ করবে। আমাদের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, আপনি সহজেই শব্দের মাধ্যমে এটি ব্যবহার করে কথা বলতে পারেন এবং আপনার যেকোনো ধরনের প্রশ্নের উত্তর পেতে পারেন। যদি আমরা এটিকে সার্চ ইঞ্জিনের ধরন হিসাবে তুলনা করি, তবে কোনও পার্থক্য দেখতে পারবো না।

Chat GPT থেকে কিভাবে আয় করবেন?

Chat GPT আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি যে আপনি এর মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। যাইহোক, আমরা অনলাইনে আয় করার কার্যকর উপায় খুঁজে পেয়েছি, যা চ্যাট জিপিটি দিয়ে অনলাইনে আয় করতে সত্যিই কার্যকর হতে পারে। আসুন জেনে নিই কিভাবে Chat GPT থেকে আয় করা যায়।

 

Chat GPT-তে অন্যর প্রশ্নের উত্তর দিয়ে উপার্জন-

চ্যাট জিপিটি-এর মাধ্যমে অনলাইনে আয় করতে, আপনাকে Quora, Bissoy Answerr ইত্যাদির মতো ওয়েবসাইটগুলি দেখতে হবে৷ এই ওয়েবসাইটগুলি যেখানে লোকেরা প্রশ্ন করে এবং অন্য কেউ তাদের উত্তর দেয়৷ বিনিময়ে তাদের বেতন দেওয়া হয়। আপনাকে যা করতে হবে তা হল এই ওয়েবসাইটগুলিতে যান এবং একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন৷
এর পরে, আপনাকে Chat GPT-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে আসতে হবে এবং এখানে প্রশ্নের উত্তর দিতে প্রশ্ন লিখতে হবে। এরপরে, Chat GPT দ্বারা আপনাকে একটি নতুন উত্তর দেওয়া হবে এবং আপনাকে আপনার পছন্দের ওয়েবসাইটে যেতে হবে এবং এটি জমা দিতে হবে এবং এর জন্য আপনাকে অর্থ প্রদান করতে হবে।

 

Chat GPT থেকে YouTube Automation Video তৈরি করে আয়-

আপনি চ্যাট GPT AI এর মাধ্যমে অনলাইনে ফেসলেস ইউটিউব অটোমেশন ভিডিও তৈরি করে উপার্জন করতে পারেন। আপনি চাইলে সহজ ভিডিও বানিয়ে টাকা আয় করতে পারেন। এর জন্য, আপনাকে আপনার YouTube চ্যানেল তৈরি করতে হবে এবং এটি নগদীকরণ করতে হবে। এর পরে, আপনি আপনার YouTube চ্যানেলের মাধ্যমে আপনার ভিডিও আপলোড করে উপার্জন করতে পারেন।

 

Chat GPT তে কনটেন্ট লিখে আয় করুন-

চ্যাট জিপিটি থেকে আয় করার আরেকটি উপায় হল বিভিন্ন আর্টিকেল বিক্রি করা। এর জন্য আপনাকে Listverse.com এর মতো যেকোনো ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে। এটি এমন একটি ওয়েবসাইট যেখানে আর্টিকেল শেয়ার করা হয় এবং বিনিময়ে উপার্জন করা হয়। আপনাকে যা করতে হবে তা হল চ্যাট জিপিটি অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান এবং একটি আর্টিকেল তৈরি করুন। এই আর্টিকেল যেকোনো বিষয়ে হতে পারে এবং এটি ওয়েবসাইটে আপলোড করবেন। যদি আপনার আর্টিকেল অনুমোদিত হয়, তাহলে আপনি এখান থেকে প্রতি নিবন্ধে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। এখানে, নিবন্ধ অনুমোদন পেতে, আপনাকে ভালো মানের  লিখতে হবে।

টিপস: “টপ 10টি বই”, “টপ 10টি সাইট” এর মতো আর্টিকেল সহজেই অনুমোদিত হবে৷


আরো পড়ুন- যেসব ব্যাবসার মাধ্যমে প্রতিদিন আয় হবে ৫হাজার টাকার বেশি

Chat GPT থেকে আয় করতে নিবন্ধ লিখুন-

আপনি নিশ্চয়ই ইন্টারনেটে অনেক নিবন্ধ/বিজ্ঞাপন দেখেছেন যেখানে তারা বলে যে আমাদের জন্য নিবন্ধ লিখে অর্থ উপার্জন করুন। আসলে এই ধরনের ওয়েবসাইট বা ব্লগের মালিকদের তাদের ব্লগের জন্য নিবন্ধ লেখার জন্য লোকেদের প্রয়োজন। এমন পরিস্থিতিতে, আপনি এই ধরনের লোকেদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন এবং নিশ্চিতকরণের পরে, আপনি প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে আসতে পারেন এবং চ্যাট জিপিটি-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে পোস্ট করতে পারেন, তাহলে চ্যাট জিপিটি আপনাকে অল্প সময়ের মধ্যে একটি নিবন্ধ বানিয়ে দেবে। এখন আপনি সেই ব্লগে গিয়ে নিবন্ধ জমা দিতে পারেন এবং উপার্জন করতে পারেন।

 

Chat GPT তে ব্যবসার নাম সাজেস্ট করে উপার্জন করুন-

Namingforce.com হল এমন একটি ওয়েবসাইট যেখানে মানুষ একটি নতুন কোম্পানী শুরু করে বা একটি নতুন ব্যবসা শুরু করে। তারা তাদের কোম্পানি বা ব্যবসার জন্য ব্যবসার নাম ধারনা খুঁজতে আসে। আপনাকে অবশ্যই এই ওয়েবসাইটে সেরা ব্যবসার নাম ধারনা জমা দিতে হবে। ওয়েবসাইটটি সময়ে সময়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন করে, যেখানে নির্বাচিত ব্যবসার নামগুলিকে $300 পর্যন্ত পুরস্কার দেওয়া হয়।
অর্থাৎ, যদি আপনার প্রদত্ত ব্যবসার নাম প্রতিযোগিতার জন্য নির্বাচিত হয়, তাহলে আপনি বিনিময়ে প্রায় 30 হাজার বাংলাদেশী টাকা পাবেন। এইভাবে, আপনি এই ওয়েবসাইটে ব্যবসার নামের ধারনা তালিকাভুক্ত করতে Chat GPT ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে পারেন।
আপনাকে যা করতে হবে তা হল Chat GPT ওয়েবসাইটে যান এবং business name idea লিখে সার্চ করতে হবে এবং Namingforce.com ওয়েবসাইটে আপনি যে ধারণাগুলি পাবেন তা নিয়ে আসুন। যদি আপনার ব্যবসার নাম আইডিয়া সিলেক্ট করা থাকে তাহলে আপনি এটি বিক্রি করতে পারবেন।

 

Chat GPT থেকে অনলাইন পরিষেবা বিক্রি করে আয় করুন-

আপওয়ার্ক, Peoplesperhours, freelancer.com, truelancer.com ইত্যাদির মতো বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সার প্ল্যাটফর্মে ফ্রিল্যান্স পরিষেবা বিক্রি করে চ্যাট জিপিটি-এর মাধ্যমে অনলাইনে আয় করতে পারেন। ট্রান্সক্রিপশন, সিভি লেখার কাজ, অনুবাদ, প্রুফ রিডিং, সম্পাদনার কাজ ইত্যাদি। চ্যাট জিপিটি-এর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কাজ করবে। এই সব আপনার জন্য। এর পরে, আপনি একটি নির্দিষ্ট মূল্যে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্স ওয়েবসাইটে কাজটি বিক্রি করতে পারেন।

 

এই ১০ নিয়ম মানলে আপনার শিশুর আচরন ও মানসিক বিকাশ হবে সুন্দর

0
এই ১০ নিয়ম মানলে আপনার শিশু হবে আপনার মনের মত

শিশুর যথাযথ বিকাশের জন্য শৃঙ্খলার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। একটি শিশুকে সঠিকভাবে ম্যানিপুলেট করা আপনার ধৈর্যের পরীক্ষা। যাইহোক, যদি আপনি প্রথম কয়েক বছর ধৈর্য ধরেন, আর কয়েকটি নিয়ম মেনে চলেন তাহলে আপনি শেষ পর্যন্ত ভালো ফল পাবেন। তাইলে জেনে নেয়া যাক কি কি বিষয় গুলো আমাদের মাথায় রাখা উচিত-

 

১. সারাক্ষন ‘না’ বলবেন না

আপনি জানেন, নিষিদ্ধ জিনিস সম্পর্কে মানুষ একটু বেশিই কৌতূহলী। যখন তারা ছোট তখন সবকিছুতে ‘না’ জবাব দিলে তখন তাদের জেদ আরও বেড়ে যায়। এছাড়াও যখন তাদের হুমকি দেওয়া হয় বা তাদের কোন কাজের সরাসরি বিরোধিতা করা হয় তখন তারা সেই কাজ করার প্রতি প্রবল আগ্রহী হয়ে উঠে। তাই সরাসরি “না” বলবেন না। মিষ্টি কথা দিয়ে বিভিন্ন উপায়ে বোঝানোর চেষ্টা করুন। 

 

২. শিশুর মত চিন্তা করুন:

শিশুকে শিশুর মতো করে বুঝুন। তার জন্য সবকিছুই নতুন। সবকিছু ঘেটে দেখার ইচ্ছা তার। সবেমাত্র মায়ের কোল থেকে বাইরের পৃথিবীকে চিনতে পারছে। সুতরাং তার এবং আপনার দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে বিশাল পার্থক্য থাকবে, এটাই চরম সত্য! সেজন্য আপনার সন্তানের অনুভূতিগুলিকে গুরুত্ব দিন। তাকে আদর করেন। ধরুন, “আপনার শিশু মোটেও ব্রাশ করতে চায় না, সুতরাং তার মুখে জোর করে ব্রাশ না ঘসে তাকে বলতে পারেন “ব্রাশ না করলে মুখের মধ্যে পোকারা বাসা বাঁধে এবং রোজ দুবেলা ব্রাশ করা একটা নিয়ম। আমারও ভালো লাগে না কিন্তু পোকার ভয়ে রোজ ব্রাশ করি।” এতে সন্তানের উপর কিছু চাপিয়ে দেয়া হয়নি এবং আপনি ব্রাশ করার গুরুত্ব বুঝতে পেরেছেন।

 

৩. পরিস্থিতির গুরুত্ব বিচার করে কাজ করুন:

বাচ্চারা বড় হয়ে অনেক আবদার করে, এবং যদি তাদের মধ্যে একটি বা দুটি মেনে করা হয়, তাহলে কোন বড় ক্ষতি নেই। আর শিশুকে সবসময় শাসন ও করতে হয় না। যেগুলা কাজ অনৈতিক সেগুলো যেমন মেনে নেবেন না সেরকম; সবসময় শিশুকে চোখ রাঙাবেন না। মাঝে মাঝে তাকে ছোট শিশুর মত ছেড়ে দিন।

 

৪. বোঝানোর ধরন পরিবর্তন করুন:

মেরেধরে, চিৎকার করে, রাগ করলেও শিশু মানুষ হবে না। এমনকি যদি সাময়িকভাবে এই কাজগুলো করা হয়, তাহলে এই ব্যাঘাতগুলি ভবিষ্যতে মা এবং শিশুর মধ্যে ভারসাম্য বিঘ্নিত করতে পারে। তাই আদর দিয়ে ব্যাখ্যা করুন, পুনরাবৃত্তি করুন। আপনি আপনার সন্তানের ভাল জানেন। তাই সে যেভাবে পছন্দ করে তাকে সেভাবেই ব্যাখ্যা করুন।

 

৫. উত্তেজনার পরিস্থিতি থেকে শিশুকে সরান:

যদি কোনো কারণে শিশু উত্তেজিত হয়ে পড়ে বা প্রবল প্রবণতা শুরু করে। তাকে সেই জায়গা বা পরিস্থিতি থেকে বের করার চেষ্টা করুন। কিছু দেখানোর বা শিশুসুলভ গল্প বলার মাধ্যমে তার মনের চিন্তাভাবনা ঘুরিয়ে দিন।

 

৬. কখনও কখনও তাকে এড়িয়ে চলুন:

মাঝে মাঝে তাকে এড়িয়ে চলুন। শিশুকে জেদ করতে দিন, কাঁদতে দিন, অন্যায় আবদার কখনই গ্রহণ করবেন না। এক্ষেত্রে আপনাকে একটু শক্ত হতে হবে। শিশুরা বেশিরভাগ সময় কাঁদে কিন্তু তারা আসলে সবার মনোযোগ আকর্ষণ করতেই ইচ্ছে করে কাঁদে। যদি আপনি তা বুঝতে পারেন, তাহলে শিশুকে কাঁদতে দিন। যদি শিশুটি কাঁদে এবং সবকিছু তার হাতের কাছে চলে আসে, তাহলে শিশুটি মজা পাবে। যে কোন কিছুতেই কান্না তার একমাত্র অস্ত্র হবে।

 

৭. বিভিন্ন কিছুর উদাহরণ দিন:

অন্য বাচ্চার সাথে তুলনা করে মারধোর করতে বলছি না এক্কেবারেই। শিশুর কাছে প্রিয়জনের ভালো গুণাবলী বা বন্ধুর ভালো দিকগুলি ব্যাখ্যা করুন। তবে আপনি এভাবে বলতেই পারেন, “দেখ, তোর বন্ধু রোজ হোম ওয়ার্ক করে স্কুলে, তোর মতো বদমাইশ নয়।” -এই পদ্ধতিতে বলা সম্পূর্ণ ভুল। আপনি এভাবে বলতে পারেন “কাল ম্যাম তোমার বন্ধুকে খুব আদর করছিলো, কারন ও প্রতিদিন নিজের হোম ওয়ার্ক করে আসে। তুমি রোজ হোম ওয়ার্ক করলে তোমাকে আরও বেশি আদর করবে সবাই।” এভাবে বললে আদরের লোভেই হয়তো সব কাজ করে ফেলবে।

 

৮. নিয়মিত একটি রুটিন মেনে চলুন:

রুটিন মেনে নিয়মিত কাজগুলি অনুসরণ করুন। বাচ্চাদের পাশাপাশি নিজেদেরও। এই নিয়মটি সবসময় শেখান। শিশুকে বুঝিয়ে দিন যে প্রতিদিন খাওয়া, ব্রাশ করা এবং ঘুমানো আমাদের রুটিন; এছাড়াও কিছু স্বভাব তার মধ্যে থাকা জরুরী। উদাহরণস্বরূপ বলতে পারেন, কারও সামনে তোমার নাকের ভেতরে হাত দেবে না, কারও শরীরে পা দিবা না বা কেউ বাড়িতে এলে প্রথমে তার সাথে হাসিমুখে আচরণ করবা এসব। ছোটবেলা থেকেই এই স্বভাবগুলিকে শিশুর সাথে পরিচয় করিয়ে দিন।

 

৯. তার প্রশংসা করুন:

মন খুলে তার প্রশংসা করুন। আপনার শিশু একটি ছবি আঁকল (হয়তো সেটা কিছু হিজিবিজি দাগ); তা দেখে শুধু ভালো হয়েছে না বলে বলতে পারেন,“তুমি যেভাবে লাইনগুলো দিয়েছ দাগ টেনেছো, সেটা খুব ভালো হয়েছে। আমাকে একটু শিখিয়ে দেবে?”

তখন, আপনার শিশু নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করবে। আপনি যদি তার কাছ থেকে শিখতে চান, তাহলে সে তার শিশু মনের মাধুরী মিশিয়ে আপনাকে শেখাতে আরও সৃজনশীল হওয়ার চেষ্টা করতে পারে। আপনি যদি আপনার শিশুর খোলাখুলিভাবে প্রশংসা করেন তাহলে সে তার সামনে থাকা অন্যের কাজকে সম্মান করে। ভবিষ্যতে সে অন্যের গুণাবলীকেও সম্মান করতে শিখবে।

 

১০. প্রয়োজনে শাসন করুন:

সব সময় তাকে আদর দিয়ে বাদর বানানোর দরকার নেই। প্রয়োজনে শাসন করতে হবে তাকে। যাতে শিশু বুঝতে পারে যে অন্যের চিন্তা বা অনুভূতিগুলিকেও সম্মান করা প্রয়োজন। কিন্তু শাসন মানে এই না যে আপনার শিশুকে মারধর করা। তার সাথে কয়েক ঘন্টা কথা বলবেন না বা খেলবেন না, আদর করবেন না। যাতে সে বুঝতে পারে, তার মায়ের ইচ্ছাকেও সম্মান করা উচিত। 

বাচ্চাকে সহশিক্ষা দেওয়া বা শাসন করা সহজ কাজ নয়। আবার, ব্যতিক্রম আছে, বিশেষ করে শিশুদের জন্য। কেউ দ্রুত শেখে, অন্যরা সময় নেয়। তাই বাবা -মা, ধৈর্য ধরুন। সন্তানের বয়স মাথায় রেখে আপনার প্রত্যাশা তৈরি করুন। প্রতিটি শিশু তার নিজস্ব ব্যক্তিত্ব এবং আদর্শ নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। পিতামাতার দায়িত্ব তাকে গড়ে নিতে হবে। অতিরিক্ত নিয়মে বেঁধে শিশুর পরিচয় যেন হারিয়ে না যায়। তবেই শিশু পূর্ণ, রুচিশীল এবং সুন্দর মানুষ হয়ে উঠবে।

 

যেসব ব্যাবসার মাধ্যমে প্রতিদিন আয় হবে ৫ হাজার টাকা

0
যেসব ব্যাবসার মাধ্যমে প্রতিদিন আয় হবে ৫ হাজার টাকা

ব্যবসা আমরা সবাই করতে চাই। আর যদি আমরা ব্যবসা করে প্রতিদিন চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা আয় না করি, তাহলে আমরা যেন কোন প্রকার লাভ পাই না মনেহয়। ঠিক কোন ব্যবসাটি অল্প সময়ে বাজারে চাহিদা রেখে প্রতিদিন চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা আয় করতে পারে? শুধু ভাবুন!

আজকের আর্টিকেলে আপনি ব্যবসা করে, প্রচুর অর্থ উপার্জনের কিছু ধারণা জানতে পারবেন। কিভাবে আপনি কম খরচে একটি ভাল ব্যবসা করতে পারেন এবং কোন অতিরিক্ত মূলধন ছাড়াই প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা আয় করতে পারেন সেটা জানতে পারবেন।

ব্যবসা করে আপনি প্রতি মাসে প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারেন কিন্তু এখানে সমস্যা হল আমাদের মধ্যে অনেকেই কিভাবে ব্যবসা করতে হবে এবং কোন ব্যবসা দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে হবে তা নির্ধারণ করতে হিমশিম খাচ্ছে। 

এই বিষয়ে আমরা আপনার সাথে এমন কিছু ব্যবসার কথা আলোচনা করব যার মাধ্যমে আপনি আপনার প্রতিভা ব্যবহার করতে পারেন এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করে প্রতি মাসে প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারেন। 

ব্যবসা হল একটি প্লাটফর্ম যেখানে আপনাকে নিজের প্রতিভা এবং কঠোর পরিশ্রম ব্যবহার করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। এবং এই প্রবন্ধে আপনি কীভাবে ব্যবসায় সফল হতে পারেন তার মূল বিষয়গুলি নিয়েও আলোচনা করা হবে।

 

ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যবসা করা

বর্তমানে আমাদের সমাজে ইন্টারনেট এর ব্যবহার অনেক । পৃথিবীর উন্নয়নের সাথে সাথে ইন্টারনেট এর ব্যবহার ও প্রচুর বেড়েই চলেছে । আমাদের বাস্তব জীবনে ইন্টারনেটের অনেক ব্যবহার হয়ে থাকে । ইন্টারনেট ব্যবহার করে অনলাইনের মাধ্যমে ব্যবসা করা সম্ভব । বর্তমানে কাস্টমার বা গ্রাহকরা ঘরে বসে নিজেদের প্রয়োজনীয় পণ্যটি অনলাইনে কি কমার্স ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে যেকোনো পণ্য ক্রয় করতে পারে । পণ্য কেনা থেকে শুরু করে পণ্যের দাম পরিশোধ পর্যন্ত সকল কার্যক্রম অনলাইনে করা সম্ভব । বর্তমানে অনলাইনে কেনাকাটা (E-Commerce) এর ব্যবহার কেবলমাত্র বেড়েই চলেছে । সেইসাথে বাড়ছে আমাদের অনলাইনে ব্যবসা করার অনেক সুযোগ । আমরা অনলাইনে ব্যবসা করে অনেক লাভবান হতে পারি । অনলাইনের মাধ্যমে ব্যবসা করার জন্য আমাদের কিছু জিনিস প্রয়োজন হবে ।

 

অনলাইন ব্যবসা : অনলাইনে ব্যবসা করার জন্য কি কি প্রয়োজন

  • আপনাকে একটি নির্দিষ্ট স্থান বা অঞ্চল লক্ষ্য করে আপনার অনলাইন ব্যবসা শুরু করতে হবে।
  • আপনার মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট সংযোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
  • আপনার পণ্য / পণ্য মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে একটি ই-কমার্স সংস্থার প্রয়োজন হবে। এটি একটি ওয়েবসাইট বা একটি ফেসবুক পৃষ্ঠা এবং একটি ইউটিউব চ্যানেল হতে পারে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আপনি আপনার পণ্যের প্রচার করতে পারেন এবং গ্রাহকরা তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী সেখান থেকে আপনার পণ্য অর্ডার করতে পারেন।
  • আপনাকে সব সময় নতুন পণ্য বিক্রি করতে হবে।
  • আপনাকে সব সময় আপনার গ্রাহকদের সাথে ভাল ব্যবহার করতে হবে।
  • পণ্যের হোম ডেলিভারির জন্য একটি সাইকেল বা মোটরসাইকেল প্রয়োজন হবে। আপনি চাইলে হোম রাইড শেয়ারিং অ্যাপ এর সাহায্য নিতে পারেন।
  • আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে যে আপনার পণ্যগুলি ভাল এবং দর্শকরা সেগুলি পছন্দ করে।
  • নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আপনার পণ্য গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দিন। এটি আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রতি গ্রাহকদের আস্থা বাড়াবে।

 

হস্তশিল্প ব্যবসা-

হস্তশিল্প ব্যবসা আজকের অন্যতম জনপ্রিয় ব্যবসা। হস্তশিল্প ব্যবসার মাধ্যমে আপনি সহজেই প্রতিদিন ৩-৫ হাজার টাকা উপার্জন করতে পারেন। অনেক মানুষ এখন এই হস্তশিল্পের ব্যবসায় জড়িত এবং এর মাধ্যমে তারা জীবিকা নির্বাহ করছে। আমাকে বলুন কে ঘর সাজাতে পছন্দ করে না! হস্তশিল্পগুলি ঘর সাজানোর এবং বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়। হস্তশিল্পের ব্যবসা করার একটি দুর্দান্ত সুযোগ হল হস্তশিল্পের ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনার প্রচুর পুঁজির প্রয়োজন হয় না। আপনি খুব কম স্টার্ট আপ খরচ দিয়ে আগামীকাল আপনার নিজের বাড়ি ভিত্তিক ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আপনি যদি হস্তশিল্প তৈরিতে পারদর্শী হন তাহলে আপনি এই প্রতিভা ব্যবহার করে প্রতি মাসে প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারেন। আপনি আপনার হস্তশিল্প অনলাইনে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করতে পারেন। নিচে কিছু হস্তশিল্প নিয়ে আলোচনা করা হল।

 

কাঠের তৈরি জিনিসপত্র-

আপনি ই-কমার্স ওয়েবসাইটে বা বাজারে কাঠের তৈরি বিভিন্ন জিনিস বিক্রি করে প্রতি মাসে প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারেন। আজকাল কাঠের পণ্যের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। আপনি যদি কাঠের কাজ জানেন এবং কাঠ দিয়ে বিভিন্ন জিনিস তৈরি করতে পারেন তাহলে আপনি কাঠের পণ্য বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। কাঠ সাধারণত ঘরের বিভিন্ন আসবাবপত্র তৈরিতে ব্যবহৃত হয় যেমন চেয়ার, টেবিল ইত্যাদি এবং ছবির ফ্রেম, বিভিন্ন সাজসজ্জার দোকান এবং কাঠের ম্যাক, বিভিন্ন ধরনের শিশুদের খেলনা ইত্যাদি আপনি সহজেই কাঠের জিনিসপত্র বিক্রি করতে পারেন। আপনি যদি কাঠের জিনিস তৈরিতে ভালো হন, তাহলে আপনি কাঠের জিনিস তৈরি করে বিক্রি করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারেন।

 

মাটির তৈরী জিনিশপত্র-

আমাদের দেশের কুমারদের তৈরি হস্তশিল্প আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তারপরও মাটির পাত্রের চাহিদা আছে। অনেক ধরনের মাটির পাত্র ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন ধরনের আসবাবপত্র এবং ঘরের খেলনা তৈরির জন্য বাসন এবং শিশুদের খেলনা সহ। বর্তমানে মাটির পাত্রে পাত্রের চাহিদা কম কিন্তু ঘর পরিপাটি করার জন্য শো -পিস ইত্যাদির চাহিদা বেশি। মাটির পাত্র সকলের প্রিয়। আপনি যদি মাটির পাত্র তৈরি করতে পারেন, তাহলে এটি আপনার ব্যবসার জন্য একটি বড় আয়ের উৎস হতে পারে। আপনি প্রধান ই-কমার্স কোম্পানীর সাথে যোগাযোগ করে বা আপনার নিজস্ব ই-কমার্স কোম্পানি তৈরি করে ক্রেতাদের কাছে আপনার পণ্য পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে অনলাইনে মাটির জিনিস তৈরি করতে পারেন। মাটির পাত্র তৈরিতে আপনার খুব বেশি পুঁজির প্রয়োজন নেই। এটি একটি বড় সুযোগ।

 

পুতুল তৈরীর ব্যাবসা-

পুতুল ছোট থেকে বড় প্রায় সবার প্রিয় জিনিস। পুতুলগুলি প্রচুর ব্যবহৃত হয়, বিশেষত ছোট বাচ্চাদের খেলনা হিসাবে। পুতুল ব্যবসা হস্তশিল্পের অন্যতম সেরা ব্যবসা। আজ বাজারে অনেক ধরনের পুতুল পাওয়া যায়, যার মধ্যে মাটির পুতুল, তুলা বা পাটের পুতুল, কাঠের পুতুল ইত্যাদি। পুতুল তৈরির ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনার অনেক পুঁজির প্রয়োজন নেই, আপনি একটু পুঁজি দিয়ে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। পুতুল বানিয়ে আপনি পুতুলগুলো বাজারে বিক্রি করতে পারেন ই-কমার্স ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অথবা বাজারের দোকানদারদের সাথে পরামর্শ করে। পুতুলের ব্যবসা বর্তমানে একটি লাভজনক ব্যবসা।

 

পাটি বা কার্পেট এর ব্যাবসা-

কার্পেট বা পাটি দৈনন্দিন জিনিসগুলির মধ্যে একটি। বর্তমানে সব পরিবারেই কার্পেট বা পাটি ব্যবহার দেখা যায়। কার্পেট সাধারণত নারকেলের ভুষি এবং পাটের দড়ি দিয়ে তৈরি হয়। সামান্য মূলধন সহ কার্পেট ব্যবসা অন্যতম লাভজনক ব্যবসা। আপনি এগুলি তৈরি করতে পারেন এবং ই-কমার্স ওয়েবসাইটে বা বাজারে বিক্রি করতে পারেন।

এখানে যেসব ব্যাবসা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে তা হয়তো আপনি বুঝতে পারছেন। এই সব ব্যাবসার মাধ্যমে আপনি প্রতিদিন ঘরে বসে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। ব্যবসার বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে আপনার প্রতিষ্ঠানের উপর নির্ভর করবে। আপনি যেভাবে বাজারজাত করেন এবং আপনার পণ্যের মূল্য কত তা আপনার উপর নির্ভর করবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে প্রতিদিন চার থেকে পাঁচ হাজার টাকায় এসব পণ্য বিক্রি করে আয় করার বিষয় নয়।

লঙ্কাপতি রাবন সম্পর্কে দশটি রহস্যময় তথ্য

0
লঙ্কাপতি রাবন সম্পর্কে দশটি রহস্যময় তথ্য

দশেরার উৎসবে অসুরের ওপর ভালোর বিজয়ের প্রতীক হিসেবে রাক্ষস রাজা রাবণের কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয়। তবে, মহাকাব্য রামায়ণের খলনায়ক হওয়ার চেয়ে তার কাছে আরও অনেক কিছু রয়েছে। এখানে পৌরাণিক কাহিনী থেকে রাবণ সম্পর্কে আমরা কিছু আকর্ষণীয় তথ্য শেয়ার করছির

১. রাবণ ছিলেন ব্রহ্মার প্রপৌত্র (সন্তানের সন্তান)

রাবণ ছিলেন সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মার প্রপৌত্র। তাঁর পিতা ছিলেন ঋষি বিশ্রাবস, যিনি ব্রহ্মার 10টি মনীষী পুত্রের মধ্যে প্রজাপতি পুলস্ত্যের পুত্র ছিলেন। তাঁর মা ছিলেন কাইকেসী, অসুর বংশের রাজকন্যা এবং সুমালি ও থাটকের কন্যা।

 

২. রাবণের সৎ ভাই ছিলেন সম্পদের দেবতা (কুবের)

শক্তিশালী রাবণ হিন্দু পুরাণে স্বর্গীয় সম্পদের দেবতা কুবেরের সাথেও সম্পর্কিত ছিল। তারা একই বাবা একই, কিন্তু মা আলাদা। মহাকাব্য রামায়ণের একটি অংশে, রাবণ কুবেরকে লুট করে এবং তার উড়ন্ত রথ, পুষ্পক বিমানে উড়ে চলে যায়।

 

৩.একজন শিব ভক্ত

রামায়ন এ বর্নীত কাহিনী অনুসারে, রাবণ মহাদেব কে প্রশন্ন করার জন্য তার ধ্যান করে এবং দীর্ঘ দিন ধ্যান করে মহাদেব কে তুষ্ট করতে পারেনা। অতঃপর সে তার ৯টি মাথা একটি একটি করে কেটে ফেলে এবং সে যখন তার দশম মাথা কাটতে যায় তখন মহাদেব সন্তুষ্ট হয়। তারপর মহাদেব তাকে বরদান দেয় মহান শিব ভক্ত হবার। এরপর থেকে রাবন কে মহা শিবভক্ত ও বলা হয়ে থাকে। তারপর থেকে তিনি দীর্ঘ বছর মহাদেব এর ভক্ত হয়ে থাকেন। রাবণ মহাদেব অনুরোধ করেছিলেন যে, তিনি তাকে কৈলাশ পর্বতে সোনার একটি মহল তৈরি করতে দেন, যা তিনি কুবের এবং স্বর্গীয় স্থপতি বিশ্বকর্মার সাহায্যে করেছিলেন। এমন অনেক তথ্য রয়েছে শিবভক্ত রাবন সম্পর্কে।

 

৪.তিনি শিবের কাছ থেকে লঙ্কা পেয়েছিলেন

পুজোর দক্ষিনা হিসাবে, রাবণ লঙ্কা চেয়েছিলেন, যা তিনি মহাদেবের জন্য নির্মাণ করেছিলেন, গৃহ-উষ্ণতার জন্য পবিত্র যজ্ঞ পরিচালনার জন্য উপহার হিসাবে। এবং কৈলাশ থেকে মহাদেব কে সরিয়ে তিনি লঙ্কা তে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন। যাইহোক, হনুমানই পরে রাবণ রামের সহধর্মিণী সীতাকে অপহরণ করার পর তার জ্বলন্ত লেজ দিয়ে লঙ্কা পুড়িয়ে দিয়েছিলেন।

 

৫. রাবণ একটি বাদ্যযন্ত্র তৈরি করেছিলেন

রাবণহট্ট নামে পরিচিত সেই যন্ত্র। এই যন্ত্রটি বীণার মতো এবং বলা হয় যে, রাবণ মহাদেবের স্তুতি গাওয়ার জন্য। কথিত আছে যে, মহাদেব এর সাহায্যে এই যন্ত্রের মাধ্যমে তিনি বেদের বানীকে সংগীত আকারে প্রকাশ করছিলেন। তিনি একজন দক্ষ বীণা বাদক ছিলেন বলে কথিত আছে।

 

৬. তিনি আপনার ধারণার চেয়েও বড় ছিলেন!

যেহেতু আমরা অনেকেই জানি, তিনি ১০,০০ (দশ হাজার) বছর ধরে তপস্যা করেছিলেন। এবং তার তপস্যার মাধ্যমে তিনি ত্রি-দেব কে প্রশন্ন করেছিলেন। আর  এজন্য ধারনা করা হয় তার বয়স ছিল অন্তত। যখন তিনি রামের সাথে যুদ্ধ করেছিলেন তখনও তার সঠিক বয়স জানা যায়নি।

৭. রাবন রামের জন্য যজ্ঞ করেছিলেন

রামায়ণের অনেকগুলি সংস্করণের মধ্যে একটিতে বলা হয়েছে যে, একবার রামের বানরসেনা লঙ্কায় সেতু তৈরি করেছিলো। আর তাদের মহাদেবের আশীর্বাদ এর দরকার ছিলো। যার জন্য তারা একটি যজ্ঞ স্থাপন করেছিল।

কিন্তু সমগ্র অঞ্চলে শিবের সবচেয়ে বড় ভক্ত ছিলেন রাবণ, এবং যেহেতু তিনি অর্ধ-ব্রাহ্মণ ছিলেন, তাই তিনি যজ্ঞ করার জন্যও তিনিই যোগ্য ছিলেন। পরে রাবন রামকে আর মহাদেবকে সম্মান প্রদর্শন করে যজ্ঞ করলেন এবং রামকে তাঁর আশীর্বাদ দিলেন।

 

৮.রাবন নামের পেছনে ইতিহাস 

রাবণ চেয়েছিলেন মহাদেবকে কৈলাস থেকে লঙ্কায় স্থানান্তরিত করতে, এবং এটি সম্ভব করার জন্য, কৈলাশ পর্বতটি উত্তোলনের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু মহাদেব তিনি তাঁর পা পর্বতে স্পর্শ করেলন, এইভাবে রাবনের হাতের আঙুল পিষে গেলো। 

 

রাবন প্রচন্ড বেদনার গর্জন ছেড়ে দিয়েছিলেন, কিন্তু একই সাথে, তিনি মহাদেবের শক্তিতে মোহিত হয়েছিলেন, তিনি শিব তান্ডব স্টোট্রাম শুরু করে দিয়েছিলেন। এটা বিশ্বাস করা হয় যে রাবণ তার নিজের হাত থেকে নার্ভ বের করে দিয়েছিলেন সঙ্গীতের সাথে যোগ করার জন্য। শিব এইভাবে মুগ্ধ হয়ে তাঁর নাম রাখেন রাবন রাবন নামের অর্থ হলোঃ যে উচ্চস্বরে গর্জন করে।

 

৯. রাবণ ও কুম্ভকরণ বিষ্ণুর দুয়ারপাল ছিলেন

রাবণ এবং তার ভাই কুম্ভকরণ আসলে জয়া এবং বিজয়া যারা বিষ্ণু দেবের দুয়ারপাল (দারোয়ান)। 

এটা তাদের একটু অহংকারী করে তুলেছিল। তারা এতটাই অহংকারী হয় যে একবার যখন চার কুমার ব্রাহ্মন (ব্রহ্মার মন-জাত পুত্ররা) বৈকুণ্ঠের (বিষ্ণুর আবাসস্থল) দ্বারে উপস্থিত হয়েছিল, 

তখন জয়া-বিজয়া তাদের নগ্ন সন্তান বলে মনে করেছিলেন (তাদের তপস্যার ফল)। এতে ঋষিরা খুব ক্ষুব্ধ হন, তারা জয়া-বিজয়াকে অভিশাপ দেন যে তারা তাদের প্রভুর কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হবেন। 

যখন তারা ক্ষমা চেয়েছিল, ঋষিরা বলেছিলেন যে তারা হয় সাতটি জীবন পৃথিবীতে বিষ্ণুর অবতারের মিত্র হিসাবে বা তিন জীবন তাদের শত্রু হিসাবে কাটাতে পারে। তারা স্বাভাবিকভাবেই পরবর্তীটি বেছে নিয়েছে। এই তিনটি জীবনের একটিতে, জয়া-বিজয়া রাবণ এবং কুম্ভকরণ হিসাবে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।

 

১০. রাবনের দশটি মাথা 

রামায়ণের কিছু সংস্করণ বলে যে রাবনের আসলে দশটি মাথা ছিল না, তবে এটি দেখা গেছে কারণ তার মা তাকে নয়টি মুক্তোর একটি নেকলেস দিয়েছিলেন যা যে কোনও পর্যবেক্ষকের জন্য একটি দৃষ্টিশক্তির বিভ্রম সৃষ্টি করেছিল। অন্য সংস্করণে, বলা হয়েছে যে শিবকে খুশি করার জন্য, রাবন তার নিজের মাথাকে টুকরো টুকরো করে কেটেছিল, কিন্তু তার ভক্তি প্রতিটি টুকরোকে অন্য একটি মাথায় তৈরি করেছিল।

দশটি মাথার জন্যই রাবণের আরেক নাম দশানন। অনেকের মতে, রাবণের ১০টি মাথা- ৪টি বেদ এবং ৬টি শাস্ত্রের প্রতীক। রাবণের দশটি মাথা তার দশটি চারিত্রিক বৈশিষ্টে্যর প্রতীক। মহাজ্ঞানী হওয়া সত্ত্বেও  চারত্রিক অবনতির কারণে শ্রীরামের কাছে তার পতন হতে হয়।

 

জেনে নেয়া যাক রাবণের দশ মাথার তাৎপর্য–

  • প্রথম মাথা– কাম।। যার বশবর্তী হয়ে রাবণ সীতা মাতাকে হরণ করেছিলেন।
  • দ্বিতীয় মাথা– মদমত্ততা।। নিজের জ্ঞানের উপর অতিরিক্ত বিশ্বাস। যাকে ইংরেজিতে ‘’ওভার কনফিডেন্স’’ বলা হয়।
  • তৃতীয় মাথা– অহংকার।। নিজেই সেরা এমন মনোভাব। যার কারণে রাবণ ভাই বিভীষণ, কুম্ভকর্ণ এমনকি পুত্র ইন্দ্রজিতের কথাতেও কান না দিয়ে রামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যান।
  •  চতুর্থ মাথা– লোভ।। রাবণের লোভের কোনো সীমা পরিসীমা ছিল না। যার ফলে শুধু পরস্ত্রী সীতাকে হরণ করেই ক্ষান্ত হননি, তাঁকে অশোক বনে বন্দী বানিয়ে রেখেছিলেন।
  • পঞ্চম মাথা– ক্রোধ।। ক্রোধের বশবর্তী হয়ে রাবণ সত্য-মিথ্যা বিচার না করে শুধু শূর্পনখার কথাতেই প্রতিশোধস্পৃহায় পাগল হয়ে গিয়েছিলেন।
  • ষষ্ঠ মাথা– মোহ।। জাগতিক সমস্ত কিছুর প্রতিই মাত্রাতিরিক্ত টান এবং সেই মোহ বজায় রাখতে যত নীচেই নামতে হোক না কেন, রাবণ তাতেও রাজি। বালির সঙ্গে যুদ্ধই তার প্রমাণ।
  • সপ্তম মাথা– মাৎসর্য।। রাবণের মনে সহজেই হিংসা জন্মাতো। যার ফলে পরের জিনিস হস্তগত করতেও বাধেনি তাঁর। লঙ্কার সিংহাসন থেকে ভাই কুবেরকে সরিয়ে নিজে রাজা হয়ে বসেছিলেন এই মাৎসর্যের বশবর্তী হয়েই।
  • অষ্টম মাথা– জড়তা।। নিজের অহংকার এবং লোভ এমন জায়গায় পৌঁছেছিল, যাতে অন্যের আবেগ ভালোবাসাও তাঁর কাছে গুরুত্বহীন হয়ে যেত।
  • নবম মাথা– ঘৃণা।। এই রিপুর বশবর্তী হয়েই রাবণ বিভীষণকে লাথি মারেন।
  • দশম মাথা– ভয়।। এটা নিজের অবস্থা, সম্পত্তি হারানোর ভয়। যার ফলে রাবণ ভুল পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছিলেন।

রাবণের এই ১০টি মাথা জাগতিক সমস্ত চাহিদার প্রতি তাকে কামনা বাসনায় ভরিয়ে তাকে জর্জরিত তোলে। যার ফলে, অসীম জ্ঞানী হওয়া সত্ত্বেও সপরিবারে তার পতন হয়। 

রামায়নে রাবণ একজন রাক্ষস, কিন্তু এটি একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় রাক্ষসের ভূমিকা ছিল, যা সৃষ্টির সমীকরণে ভারসাম্য এনেছিল। আশ্চর্যের কিছু নেই যে, পৃথিবীতে অনেক মানুষ আছে, যারা এখনও রাবনের পূজা করে।

এই মন্ত্র গুলির ব্যাবহারে আপনার জীবনে আসবে সুখ ও শান্তি

0
এই মন্ত্র গুলির ব্যাবহারে আপনার জীবনে আসবে সুখ ও শান্তি

প্রচলিত এবং বিস্তৃত অর্থে বলা যায়, নিজের ইচ্ছা প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম হল শব্দ। মন্ত্র হল সেই মাধ্যম যার দ্বারা মনের ইচ্ছা বাহ্যিকভাবে প্রকাশ পায়। এটিই হলো সেই মাধ্যম, যার সাহায্যে বিভিন্ন দেবী-দেবতার আহ্বান করা হয়। যাতে দেবী-দেবতা শারীরিক, মানসিক, ভৌতিক এবং আধ্যাত্মিক বিকাশে ভারসাম্য স্থাপিত করে জীবনকে সুখী করে তোলেন। এই শাস্ত্রকে এক পূর্ণ বিকশিত আধ্যাত্মিক বিজ্ঞানের সংজ্ঞা দেওয়া যেতে পারে। 

তবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে মনের ত্রাণ বা মুক্তিকে মন্ত্র বলা হয়েছে। মন্ত্রের সঠিক নির্বাচন এবং সঠিক উখেত্রেমানুষের শারীরিক, মানসিক, ভৌতিক এবং আধ্যাত্মিক বিকাশে ভারসাম্য স্থাপিত করে এবং  জীবনে সুখ, সমৃদ্ধি ও শান্তি স্থাপিত করে। 

তাহলে এবার জেনে নেয়া যাক কখন কোন মন্ত্র ব্যবহার করা উচিত:

  • সকল কাজ শুরুর পুর্বে বলতে হবে- ওঁ তৎ সৎ। 
  • জন্ম সংবাদ শুনলে বলতে হবে- আয়ুষ্মান ভব।
  • মৃত্যু সংবাদ শুনলে বলতে হবে- দিব্যান লোকান্ স গচ্ছতু।
  • খাবার আগে বলুন- ওঁ শ্রী জনার্দনায় নমঃ।
  • বিপদে বলবেন – ওঁ শ্রী মধুসূদনায় নমঃ।
  • ঘুমাবার আগে বলতে হবে- ওঁ শয়নে শ্রী পদ্মনাভায় নমঃ।
  • গৃহ প্রবেশ মন্ত্র- ওঁ শ্রী বাস্তুপুরুষায় নমঃ।

আরো কিছু প্রনাম মন্ত্র-

মাতৃ প্রণাম মন্ত্র

ভূমেগরীয়সী মাতা স্বাগাৎ উচ্চতর পিতা
জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদগি গরিয়সী।
গর্ভ ধারণ্যং পোষ্যভাং পিতুমাতা বিশ্বস্তে।
সর্বদেব সরুপায় স্তন্মৈমাত্র নমঃ নমঃ।।

পিতৃ প্রণাম মন্ত্র-

পিতাস্বর্গঃ পিতা ধর্মঃ পিতাহিপরমংতপঃ।
পিতরি প্রীতিমাপন্নে প্রীয়ন্তে
সর্বদেবতা নমঃ পিতৃ চরণেভ্য নমঃ॥

মহাদেব প্রনাম মন্ত্র-

নমঃ শিবায় শান্তায় কারুণাত্রায়
হেতবে নিবেদিতামি চাত্মানং ত্বং গত্বিং পরমেশ্বর॥

শ্রীকৃষ্ণ প্রণাম মন্ত্র-

হে কৃষ্ণ করুণা সিন্ধু দীনবন্ধু জগৎপথে।
গোপেশ গোপীকা কান্ত রাধা কান্ত নমহস্তুতে॥
নম ব্রহ্মণ্য দেবায় গো ব্রহ্মণ্য হিতায় চ।
জগদ্ধিতায় শ্রীকৃষ্ণায় গোবিন্দায় বাসুদেবায় নমঃ নমঃ॥

বিষ্ণু প্রনাম মন্ত্র-

ওঁ ত্রৈলোক্য পূজিত শ্রীমন সদা বিজয় বর্দ্ধন।
শান্তিং কুরু গদাপানে নারায়নায় নমোহস্তুতে॥

সূর্য প্রণাম মন্ত্র- 

ওঁ জবাকুসুমসঙ্কাশং কাশ্যপেয়ং মহাদ্যুতিম্।
ধ্বান্তারিং সর্বপাপঘ্নং প্রণতোহষ্মি দিবাকরম্॥

গুরু প্রণাম মন্ত্র- 

অখণ্ড মণ্ডলা কারং ব্যাপ্তং যেন চরাচরম।
তদপদং দর্শিতং যেন তস্মৈ শ্রী গুরুবে নমঃ॥
অজ্ঞান তিমিরান্ধস্য জ্ঞানাঞ্জন শলাকয়া।
চক্ষুরুন্মিলিত যেন তস্মৈ শ্রী গুরুবে নমঃ॥
গুরু ব্রহ্মা গুরু বিষ্ণু গুরুদেব মহেশ্বর।
গুরুরেব পরংব্রহ্ম তস্মৈ শ্রীগুরুবে নমঃ॥

গোবিন্দ প্রণাম মন্ত্র- 

ওঁ ব্রহ্মাণ্ড দেবায় গোব্রাহ্মণ হিতায় চঃ।
জগদ্ধিতায় শ্রীকৃষ্ণায় গোবিন্দায় নমঃ॥

দুর্গা প্রণাম মন্ত্র- 

সর্বমঙ্গল মঙ্গল্যে শিবে সবার্থসাধিকে।
শরণ্যে ত্র্যম্বকে গৌরী নারায়ণী নমোহস্তুতে॥

গায়ত্রী প্রণাম মন্ত্র- 

ওঁ ভূর্ভুবঃ স্বঃ তৎ সবিতুর্বরেণ্যং
ভর্গো দেবস্য ধীমহি,
ধিয়ো যো নঃ প্রচোদয়াৎ ওঁ॥

বিশ্বকর্মা প্রণাম মন্ত্র- 

দেবশিল্পীন মহাভাগ দেবানাং কার্যসাধক।
বিশ্বকর্মন্নমস্তুভ্যং সর্বাভীষ্টফলপ্রদ॥

তুলসী প্রণাম মন্ত্র- 

ওঁ বৃন্দায়ৈ তুলসী দৈব্যে প্রিয়াঐ কেশবস্য চঃ।
কৃষ্ণভক্তিপদে দেবী সত্যবত্যৈ নমঃ নমঃ॥

গোবিন্দ প্রণাম মন্ত্র- 

ওঁ ব্রহ্মাণ্ড দেবায় গোব্রাহ্মণ হিতায় চঃ।
জগদ্ধিতায় শ্রীকৃষ্ণায় গোবিন্দায় নমঃ॥

মহাদেবের মহা মৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র-

ওঁ ত্রম্বকং য্জামহে সুগন্ধিং পুষ্টিবর্ধনম্।
উর্বারকামিব বন্ধনান মৃতৌমোক্ষীয় মামৃতাত॥

দেহ শুচীর মন্ত্র- 

ওঁ অপবিত্র পবিত্রোবাং সর্বাবস্থান গতহ্বপিবা।
যৎ সরেত পুণ্ডরিকাক্ষং স বাহ্য অভ্যান্তরে শুচি॥
পাপোহং পাপ কর্মাহং পাপাত্মা পাপ সম্ভাবান্।
ত্রাহি মাং পুণ্ডরীকাক্ষং সর্ব পাপো হরো হরি॥

সরস্বতী প্রণাম মন্ত্র-

ওঁ জয় জয় দেবী চরাচর সারে।
কুচযুগশোভিত মুক্তাহারে॥
বীনারঞ্জিত পুস্তক হস্তে।
ভগবতী ভারতী দেবী নমহস্তুতে॥

লক্ষী প্রনাম মন্ত্র-

ওঁ বিশ্বরূপস্য ভার্য্যাসি পদ্মে পদ্মালয়ে শুভে।
সর্ব্বত পাহি মাং দেবী মহালক্ষ্মী নমহস্তুতে॥

শ্রীবিষ্ণু প্রণাম মন্ত্র- (অশ্বথ বৃক্ষমূলে জল দিয়ে)

ওঁ অশ্বত্থ বৃক্ষরূপোহসি মহাদেবেতি বিশ্রুতঃ।
বিষ্ণুরপধরোহসি ত্বং পুণ্যবৃক্ষ নমোহস্ত্ত তে॥

শ্রী পঞ্চতত্ত্ব প্রণাম মন্ত্র- 

পঞ্চতত্ত্ব আত্মকং কৃষ্ণং ভক্তরূপ স্বরূপকম্।
ভক্ত অবতারং ভক্তাখ্যাং নমামি ভক্ত শক্তিকম্॥

মা কালীর প্রনাম মন্ত্র- 

জয়ন্তী মঙ্গলা কালী ভদ্রা কালী কপালিনী।
দূর্গা শিবা সমাধ্যার্তী সাহা সুধা নমস্তুতে॥

ভুলত্রুটি হলে ক্ষমা  প্রার্থনা

ওঁ যদক্ষরং প‌রিভ্রষ্টং মাত্রাহীনঞ্চ যদ্ ভ‌বেৎ।
পূর্ণং ভবতু ত্বৎ সর্বং ত্বৎ প্রসাদাৎ জনার্দ্দন॥
মন্ত্র হীনং ক্রিয়া হীনং ভ‌ক্তিহীনং জনার্দ্দন।
যৎ পূ‌জিতং ময়া দেব পরিপূর্ণং তদস্তূ‌মে॥

একসঙ্গে মহাদেবের সকল শক্তিশালী পবিত্র মন্ত্র

0
একসঙ্গে মহাদেবের সকল শক্তিশালী পবিত্র মন্ত্র

হিন্দুদের মাঝে কেউ কেউ তাকে ভয় করে, কেউ তাকে পূজা করে, আর কেউ কেউ বলে  তিনি সবার চেয়ে আলাদা। কারণ আমরা হিন্দু ধর্মে সাধারণত যেসব দেবদেবীর ছবি দেখি তার থেকে মহাদেব অনেক আলাদা।

 

তিনি দেবাদিদেব মহাদেব। তিনি কোন অলঙ্কার পরেন না। পরণে বাঘের চামড়া , মাথায় লম্বা জটা, সারা শরীরে ছাই। হিন্দুধর্ম মতে, তিনটি মূল দেবতা হলেন ব্রহ্মা, বিষ্ণু এবং মহেশ্বর। তাদের মধ্যে ব্রহ্মা স্রষ্টা, বিষ্ণু নিয়ন্ত্রক এবং মহাদেব মহেশ্বর  শিব অশুভ শক্তির বিনাশকারী।


মহাদেব যতটা দেবতাদের ভালোবাসেন ততটা, রাক্ষসকুল কেউ ভালোবাসেন । তিনি বিশ্বাস করেন যে জন্ম কিছু নয়, কর্ম বাস্তব। যদি কেউ তাকে তপস্যা দ্বারা তাকে খুশি করতে পারেন, তিনি তাদের উপহারও দেন। অনেক দেবতারা এই কারণে মহাদেবের উপর ক্ষুব্ধ হন মাঝেমাঝে। কিন্তু সে তার অবস্থান থেকে সরে যায়নি।

মহাদেবের ধ্যান এবং ভক্তি আমারা অনেকেই করতে চাই তাহলে জেনে নেয়া যাক মহাদেবের সকল মন্ত্র-

মহাদেবের জপ মন্ত্র-

নমঃ শিবায়।।

মহাদেবের প্রনাম মন্ত্র-

ঔঁ নমঃ শিবায় শান্তায় কারনত্রয়হেতবে।

নিবেদয়ামি চাত্মানং ত্বং গতিং পরমেশ্বর।।

 

মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র-

ঔঁ ত্র্যম্বকম যজামহে সুগন্ধিম পুষ্টিবর্ধনম্। 

উর্বারুকমিব বন্ধনান্ মৃত্যোর্মুক্ষীয় মামৃতাত্।। 


মহামৃত্যুঞ্জয় গায়েত্রী মন্ত্র-

ঔঁ হৌং জূং সঃ ওম ভূর্বুবঃ স্বঃ 

ঔঁ ত্র্যম্বকম যজামহে সুগন্ধিম পুষ্টিবর্ধনম্। 

উর্বারুকমিব বন্ধনান্ মৃত্যোর্মুক্ষীয় মামৃতাত্ 

ঔঁ স্বঃ ভুবঃ ওম সঃ জূং হৌং ঔঁ।।

 

মহাদেবের ধ‍্যান মন্ত্র:

ঔঁ ধ‍্যায়েন্নিত‍্যং মহেশং রজতগিরিনিভং চারুচন্দ্রাবতংসং।

রত্নাকল্পোজ্জ্বলাং পরশুমৃগবরাভীতিহস্তং প্রসন্নম্।।

পদ্মাসীনং সমন্তাৎস্তমমরগণৈব‍্যাঘ্রকৃওিং বাসানং।

বিশ্বাদ‍্যং বিশ্ববীজং নিখিলভয়হরং পঞ্চবক্ত্রং ত্রিনেত্রম্।। 

 

রুদ্রা গায়ত্রী মন্ত্র-

ঔঁ তৎপুরুষায় বিদ্মহে মহাদেবায় 

ধীমহি তন্নো রুদ্রঃ প্রচোদয়াৎ।।

 

শিব রুদ্র মন্ত্র-

ঔঁ নমো ভগবতে রুদ্রায় নমঃ।

 

রুদ্রাস্তাকাম মন্ত্র-

নমামীশ মীশান নির্বাণরূপং,
বিভুং ব্য়াপকং ব্রহ্মবেদ স্বরূপম |

নিজং নির্গুণং নির্বিকল্পং নিরীহং
চদাকাশ মাকাশবাসং ভজেহম || ১ ||

নিরাকার মোংকার মূলং তুরীয়ং
গিরিজ্ঞান গোতীত মীশং গিরীশম |

করালং মহাকালকালং কৃপালং
গুণাগার সংসারসারং নতো হম || ২ ||

তুষারাদ্রি সংকাশ গৌরং গংভীরং
মনোভূতকোটি প্রভা শ্রীশরীরম |

স্ফুরন্মৌলিকল্লোলিনী চারুগাংগং
লস্ত্ফালবালেংদু ভূষং মহেশম || ৩ ||

চলত্কুংডলং ভ্রূ সুনেত্রং, 
বিশালং প্রসন্নাননং নীলকংঠং দয়ালুম |

মৃগাধীশ চর্মাংবরং মুংডমালং প্রিয়ং
শংকরং সর্বনাথং ভজামি || ৪ ||

প্রচংডং প্রকৃষ্টং প্রগল্ভং পরেশম
অখংডম অজং ভানুকোটি প্রকাশম |

ত্রয়ী শূল নির্মূলনং শূলপাণিং
ভজেহং ভবানীপতিং ভাবগম্য়ম || ৫ ||

কলাতীত কল্য়াণ কল্পাং,
তরী সদা সজ্জনানংদদাতা পুরারী |

চিদানংদ সংদোহ মোহাপকারী
প্রসীদ প্রসীদ প্রভো মন্মধারী || ৬ ||

ন য়াবদ উমানাথ পাদারবিংদং,
ভজংতীহ লোকে পরে বা নারাণাম |

ন তাবত্সুখং শাংতি সংতাপনাশং
প্রসীদ প্রভো সর্বভূতাধিবাস || ৭ ||

নজানামি য়োগং জপং নৈব পূজাং,
নতো হং সদা সর্বদা দেব তুভ্য়ম |

জরাজন্ম দুঃখৌঘতাতপ্য়মানং,
প্রভোপাহি অপন্নমীশ প্রসীদ! || ৮ ||

 

রিগ্বেদের হিরণ্যগর্ভ মন্ত্র:

ওম নমো হিরণ্য বাহাদে

হিরণ্য বর্ণ্যয়, হিরণ্য রুপায়া

হিরণ্য পাতায়া, অম্বিকা পাতায়া

উমা পাতায়া,পশুপতায় নমো নমোহা

 

ইশানা সর্ববিদ্যানম, ইশ্বর সর্বভূতন্‌

ব্রহ্মাধিপতি ব্রাহ্মণোধিপতি

ব্রহ্মা শিবো মে আস্তু,সাদা শিব ওম

 

তৎপুরুষায় বিদ্মহি, ভাকবিষুধায় ধীমহি
তন্নো শিব প্রচোদয়ত

ওহো দেবায়া বিদ্মহি, রুদ্রমুর্ত্যেয় ধীমহি
তন্নো শিব প্রচোদয়ত

 

নমস্তে আস্তু ভগবান বিশ্বেশ্বরায়োও, মহাদেবায়, ত্রায়ম্বকায়, ত্রিপুরান্তকায়,

ত্রিকাগ্নিকালয়, কালগনিরুদ্রায়, নীলকান্ঠায়,মৃত্যুঞ্জয়, সর্বেশ্বরায়, সদাশিবয়

শ্রীমান মহাদেবায় নমোহা! ওম শান্তি ওম শান্তি ওম শান্তি, ওম!

 

শিব পুরাণের ১২জ্যোতির লিঙ্গম মন্ত্র-

সৌরাষ্ট্র সোমনাথম চা শ্রীশৈল মল্লিকার্জুনম ||

উজ্জয়ানিয়াম মহাকাল ওমকারে মামলেশ্বরম ||

পার্ল্যম বৈজনাথাম চা ডাকিনাম ভীমা শঙ্করাম ||

সেতু বান্ধে তু রামেশম নাগেশম দারুকা ভানে ||

বারাণস্য তু বিশ্বেশম ত্রিবাকম গৌতমিততে ||

হিমালয় তু কেদারাম ঘর্মেশম চা শিবালয়ে ||

এইতানি জ্যোতির্লিঙ্গনী সায়াম প্রতাহ পাঠেনরহ ||

সপ্ত জন্মা কৃতম পাপাম স্মরণেন বিনশ্যতি ||

 

ওয়েবসাইট বিল্ডিং করার সেরা টিপস এবং টুলস

0
ওয়েবসাইট বিল্ডিং করার সেরা টিপস এবং টুলস

এই আর্টিকেলে, আমরা সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট-বিল্ডিং টুলস উপস্থাপন করবো। আমরা আপনাকে এমন একটি টুল খুঁজে পেতে সাহায্য করবো যা আপনার প্রয়োজনের সাথে সবচেয়ে ভালোভাবে মানাবে।

 

WIX Website Builder


Wix হল একটি বিনামূল্যের ক্লাউড-ভিত্তিক ওয়েবসাইট নির্মাতা প্ল্যাটফর্ম যা উচ্চ-মানের এবং বৈশিষ্ট্য-সমৃদ্ধ ওয়েবসাইট, ব্লগ, ল্যান্ডিং পেজ বা অনলাইন স্টোর তৈরি করার জন্য সবচেয়ে ভালো। আপনি বিভিন্ন থিমে ডিজাইন করা 500+ প্রফেশনালি তৈরি টেমপ্লেটগুলির মধ্যে একটি ব্যবহার করতে পারেন এবং আপনার প্রয়োজনীয়তার সাথে সামঞ্জস্য রেখে এটি পরিবর্তন করতে পারেন।

 

Wix এর মাধ্যমে, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট বা কোডিং নিয়ে আপনার কোনো অভিজ্ঞতা না থাকলেও, যে কেউ একটি প্রফেশনাল ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারে। এছাড়াও, এমন অনেকগুলি প্রিবিল্ড টুলস রয়েছে, যা আপনি একটি অনলাইন স্টোর, প্রফেশনাল ব্লগ, অনলাইন বুকিং এবং সময়সূচী সরঞ্জাম, মাল্টি-চ্যানেল বিক্রয় এবং অনলাইন অর্থপ্রদান সহ আপনার ওয়েবসাইটে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন৷

 

যারা তাদের ব্যবসা শুরু করছেন, Wix-এর কাছে আপনার অনলাইন উপস্থিতি তৈরি এবং বাড়াতে অনেক কিছুর অফার রয়েছে। আপনি স্বজ্ঞাত লোগো-মেকার টুল দিয়ে আপনার ব্র্যান্ডের লোগো তৈরি করতে পারেন, আপনার সাইটের জন্য কাস্টম ডোমেন নাম পেতে পারেন, আপনার অনলাইন দৃশ্যমানতা উন্নত করতে SEO বৈশিষ্ট্যের একটি পরিসর এবং আপনার সাইটের অগ্রগতি ট্র্যাক করার জন্য প্রকৃত ওয়েব বিশ্লেষণ করতে পারেন।

 

Wix-এর সবচেয়ে আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে একটি হল ADI (কৃত্রিম ডিজাইন ইন্টেলিজেন্স) যা AI ব্যবহার করে একটি বিস্ময়কর ওয়েবসাইট তৈরি করতে আপনার কি ধরনের সাইট প্রয়োজন সে সম্পর্কে কিছু সহজ প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে। এছাড়াও, Velo হল Wix এর OpenDev প্ল্যাটফর্ম যা আপনাকে সম্পূর্ণ নমনীয়তা এবং ডিজাইনের স্বাধীনতা সহ আপনার নিজস্ব ওয়েব অ্যাপ তৈরি করতে দেয়।

 

Elementor Website Builder

Elementor হল ওয়ার্ডপ্রেসের(WordPress) জন্য অসাধারন ওয়েবসাইট বিল্ডার গতএই 2 বছরের মধ্যে। ২ মিলিয়নের বেশি সক্রিয় ইনস্টলেশনের সাথে খুব কম Elementor পরিচালনা করতে পারে না।

 

Elementor মজাদার এবং কাজ করা সহজ। এবং এটিও দ্রুত, Elementor আপনার সাইটটিকে শর্টকোড হেল দিয়ে পূরণ করে না, আপনার ওয়েবসাইটটি পরিষ্কার কোড দিয়ে চলবে এবং সেরা অংশটি হল: জিরো কোডিং এর ব্যাবহার।

 

খুব দ্রুত, আপনি বুঝতে পারবেন কীভাবে উপাদানগুলিকে টেনে আনতে হয়, টেক্সট লিখতে করতে হয়, মজাদার অ্যানিমেশন তৈরি করতে হয় এবং সুন্দর ওয়েবসাইট ডিজাইন করতে হয়।

 

এলিমেন্টর আপনার ওয়ার্কফ্লোকে সুপারচার্জ করার জন্য তৈরি শক্তিশালী বৈশিষ্ট্যগুলির সাথে পরিপূর্ণ: ন্যাভিগেটর, ফাইন্ডার, থিম বিল্ডার, মার্কেটিং উইজেট, ভিজ্যুয়াল ফর্ম বিল্ডার, হেডার এবং ফুটার বিল্ডার এমন বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে রয়েছে যা এলিমেন্টরকে অন্যান্য নির্মাতাদের উপরে সেট করে।

 

অন্যান্য বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে রয়েছে একটি কাস্টম ফন্ট, কাউন্টডাউন টাইমার, স্টার রেটিং, পর্যালোচনা, ওয়ার্ডপ্রেস কাস্টম ফিল্ডস ইন্টিগ্রেশন, একটি WooCommerce বিল্ডার এবং সংস্করণ 2.4 সহ, এলিমেন্টর পপআপ বিল্ডার, এটি মাত্র শুরু Elementor প্রতি মাসে একটি নতুন হত্যাকারী বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করে

 

এখন আপনি একই সাথে ডেভেলপমেন্ট, মার্কেটিং এবং ডিজাইন করতে পারবেন, উৎপাদন খরচ ও সময় বাঁচাতে পারবেন এবং আগের চেয়ে আরও দ্রুত ওয়েবসাইট ডিজাইন করতে পারবেন।

 

Mobirise Website Builder

Mobirise বেশ কিছু সুবিধা দেয় যা অনেক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট নির্মাতারা করেন না। যেহেতু এটি একটি অফলাইন নির্মাতা, ডিজাইনাররা একটি নির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্মের সাথে আবদ্ধ হয় না, তারা তাদের নিজস্ব হোস্টিং প্রদানকারী নির্বাচন করতে স্বাধীন, এবং এই ওয়েবসাইট-বিল্ডিং টুলটি তারা যে কোনো পদ্ধতিতে ব্যবহার করতে পারে।

 

Mobirise এছাড়াও Bootstrap4 বা Google AMP প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে তৈরি, এটি কার্যত নিশ্চিত করে যে এটির সাথে নির্মিত যেকোন সাইট ব্যবহারকারী বান্ধব এবং অতি দ্রুত হবে।

 

প্যাকেজটিতে রয়েছে 1,500টি ট্রেন্ডি ডিজাইন ব্লক এবং ওয়েবসাইট টেমপ্লেটের একটি বিশাল সংগ্রহের সাথে গুগল ফন্ট, আইকন এবং বিনামূল্যের ছবি।

 

সবকিছুই ড্র্যাগ এন্ড ড্রপ এবং কোন কোডিং এর প্রয়োজন নেই বা Mobirise এর সাথে কাজ করার জন্য কোন বিশেষ ডিজাইনের দক্ষতার প্রয়োজন নেই। সর্বোপরি, Mobirise ব্যক্তিগত এবং বাণিজ্যিক উভয় ব্যবহারের জন্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে – কোন স্ট্রিং সংযুক্ত ছাড়াই।

Portfoliobox

পোর্টফোলিওবক্স হল একটি অনলাইন ওয়েবসাইট নির্মাতা যা সৃজনশীল পেশাদার এবং নতুনদের জন্য একইভাবে একটি চমৎকার পছন্দ হবে এবং যে কেউ একটি ওয়েবসাইট-বিল্ডিং টুল খুঁজছেন যা তাদের অসাধারণভাবে ডিজাইন করা পোর্টফোলিও সমন্বিত আকর্ষণীয় ওয়েবসাইট তৈরি করতে সক্ষম করে।

পোর্টফোলিওবক্স যেকোন থিমের সাথে ব্যবহার করা যেতে পারে, এটি নমনীয় এবং ব্যবহার করা সহজ এবং কোন কোডিং এর প্রয়োজন নেই।

পোর্টফোলিওবক্স দল একটি বিনামূল্যের পরিকল্পনা এবং একটি প্রো প্ল্যান অফার করে৷

 

যে ১০টি বদঅভ্যাস, আপনার মস্তিষ্কের ক্ষমতাকে নষ্ট করে দিচ্ছে

0

জ্ঞান অর্জন করা বুদ্ধিমত্তা নয়, আসল বুদ্ধিমত্তা হলো কল্পনা শক্তি থাকা।
এই কথাটিকে সে বলে গেছেন যাকে, পৃথিবীর সবথেকে বুদ্ধিমান মানুষ বলা হয়।
সেই ব্যাক্তিটি হলো আলবার্ট আইন্সটাইন। 

 

আজকের আর্টিকেলে আপনি জানতে চলেছেন এমন ১০টি খারাপ অভ্যাস যা আপনার বুদ্ধিমত্তাকে কমিয়ে দিচ্ছে। যদি আপনি এই দশটি অভ্যাস থেকে মুক্তি পেয়ে যান, তাহলে আপনি আজকের তুলনায় অনেকগুন বুদ্ধিমান হয়ে যাবেন। 

 

যদি আপনি একজন ছাত্র হন, তাহলে আপনি আপনার পড়াশোনা কে ভালোভাবে মনে রাখতে পারবেন। এক্সামে টপ করতে পারবেন। যদি আপনি একজন বিজনেস ম্যান হন তাহলে আপনি আপনার বিজনেস কে ভালোভাবে প্ল্যান করতে পারবেন। এক কথায়, যদি আপনার বুদ্ধিমত্তা বেশি হয় তাহলে আপনি আপনার আশেপাশের সকল মানুষকে পেছনে ফেলে জিবনে এগিয়ে যেতে পারবেন।

স্যার আইজ্যাক নিউটন বলতেন “আমরা দেয়াল তো বানাই ঠিকই, কিন্তু পিলারই বানাই না”। আর বুদ্ধিমান হওয়ার জন্য এই দশটি পিলার খুবই গুরুত্বপুর্ণ। তাহলে এই দশটি নিয়ম কে মনোযোগ এর সাথে অবশ্যই পড়বেন-

 

১। প্রতিটি বিষয়কে মনে নিয়ে নেয়া-


যদি আপনি কারো বলা কোনো কথা মনে নিয়ে নেন, এবং তার জন্য মন খারাপ করলেন অথবা রাগী হয়ে যান তাহলে চলবে না। কারন এই অভ্যাস আপনার মস্তিষ্কের জন্য, আপনার ব্রেইন-পাওয়ার এর জন্য খুবই খারাপ একটি অভ্যাস। 

 

যদি আপনি কারো বলা কথা আপনার মনে নিয়ে নেন তাহলে সেই কথা ভাবতেই আপনার প্রচুর সময় লেগে যাবে, যে সময়টিতে আপনি অভিনব কিছু ভাবতে পারতেন, নিজের জিবনের সমস্যার সমাধান গুলোকে খুজতে পারতেন। কিন্তু সেই সময়টি লোকজনের দ্বারা আপনাকে বলা কথা ভাবতেই খরচ করে ফেলছেন। এইজন্য এই অভ্যাস বাদ দিতে হবে।


২। অতীতের স্মৃতিতে আটকে থেকে যাওয়া-

 

আপনি কি আপনার অতিত নিয়ে বেশি ভাবেন? দেখুন আমরা মানুষ, এক হয়েও কিন্তু সকলে ভিন্ন, আমাদের চিন্তাভাবনা ভিন্ন আর আমাদের অতীত ও ভিন্ন। অতীত থেকে আমরা কেবল মাত্র দুইটি কাজ করতে পারি, 

(i) অতীত কে মনেকরে দুঃখ পাই 

(ii) অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে জীবনে এগিয়ে যাই
 

এজন্য আমাদের নিজের চিন্তা ভাবনা কে অতীত থেকে মুক্ত করে দিতে হবে। এতে কি হবে? একবার ভাবুন, অতীতকে ভাবতে কিন্তু আমাদের কম সময় নষ্ট হয়না। সময়কে বাদ দিলেও আমাদের প্রচুর মানসিক শক্তিও নষ্ট হয়, মন খারাপ হয়ে যাই। কিন্তু একবার ভেবে দেখুন, যেই সময়ে আপনি কতকগুলো প্রডাক্টিভ কাজকে করতে পারতেন, কাজ না করলেও প্রডাক্টিভ চিন্তা ভাবনা তো করতে পারতেন!

 

৩। সবসময় অতিরিক্ত চিন্তিত থাকা-


আপনি কি প্রয়োজনের থেকে বেশি টেনশন করেন? পরিক্ষায় কম মার্ক পেলেন টেনশন চলে এলো, কেউ কিছু বলে দিলো টেনশন শুরু হলো, কোনো মেয়ে কথা বলছে না, তাই টেনশন চলে আসলো, মনেহলো যে জীবন শেষ সবকিছু শেষ। টেনশন, প্রচুর টেনশন নিয়ে বেচে থাকাকে জীবন উপলব্ধি করা বলেনা! 

 

আপনি ভাবতে পারেন এটা বলা সহজ কিন্তু করা কঠিন। তবে চিন্তামুক্ত হওয়া কিন্তু এতোটাই কঠিন না। মাঝেমধ্যে আমরা কোনো জিনিসের ব্যাপারে এতোটা ভেবে নেই যতটা সেই জিনিসটা এতো চিন্তা-ভাবনার যোগ্যই না। একটি ছোট পাথরকে চোখের কাছে রাখলে বড় দেখাবে, কিন্তু পাথরটিকে একটূ দূরে রাখলে একে ছোট দেখাবে। সেভাবে নিজের প্রবলেম কে একটু দুর থেকে দেখুন।

 

৪। রুটিন না মেনে চলা-

 

আমাদের মধ্যে অনেকেই এমন থাকে যার না ঘুমানোর টাইম ফিক্স, না ঘুম থেকে উঠার টাইম ফিক্স। যখন মনে হয় ঘুমিয়ে যায়, যখন ইচ্ছা হয় তখন ঘুম থেকে উঠে যায়, যখন ইচ্ছে হলো খাবার খায় আবার যখন ইচ্ছে তখই স্নান করে এবং মোবাইল চালাতে চালাতেই দিন শেষ করে ফেলে। এর থেকে বিরত থাকতে হবে। এবং নিজের সুবিধামতো রুটিন বানিয়ে তা রেগুলার ফলো করে চলতে হবে। 

 

৫। সবসময় অভিযোগ করতে থাকা-

 

আমরা অনেক সময় এমনটা ভেবে থাকি, আমরা নিজেরা যেমনই হইনা কেনো আমাদের জীবনের সবকিছু যেন পারফেক্ট হয়, বন্ধু যেন পারফেক্ট হয়, ফেমিলি যেন পারফেক্ট হয়, গার্লফ্রেন্ড/বয়ফ্রেন্ড যেন পারফেক্ট হয়। মানে আমরা যেমনই হইনা কেন সৎ, অসৎ, ভালো, মন্দ আমরা মনেকরি আমরা জীবনের সবকিছুকেই যেন পার্ফেক্ট পাই।

মানে বুঝতে পেরেছেন তো? আমি কমপ্লেইন বা অভিযোগের কথা বলছি। আর এই অভিযোগ করতে করতে ব্রেইনে এতটা নোংরা জমে যায় যে, আমরা যখনই নতুন কিছু দেখি সেখানেই কিছু ভুল দেখতে পাই। এই অভিযোগ করার অভ্যাসের দ্বারা আপনি কিছুটা তো সাটিস্ফাইড হন ঠিকই কিন্তু এটি আপনার মস্তিষ্ক এবং সৃজনশীলতা দুইটিকেই নষ্ট করে দেয়।

 

৬। প্রয়োজনের থেকে বেশি ভাবা-

 

মাঝে মাঝে আমরা একটি ঝামেলা থেকে মুক্তি না পেতেই আরেকটি ঝামেলায় পড়ে যাই। এক সমস্যার সমাধার করতে না করতেই আরেকটা সমস্যার মধ্যে জড়িয়ে যাই। আর ভাবতে ভাবতে অতিরিক্ত চিন্তা করার অভ্যাসকে বানিয়ে নেন। দেখুন, চিন্তা-ভাবনা করা ভালো, এই ভাবনাই তো আমাদের অন্যান প্রানীদের থেকে আলাদা করে। কিন্তু এর একটি লিমিট রয়েছে।

চিন্তা করা আর অতিরিক্ত চিন্তার মধ্যে কিন্তু অনেক পার্থক্য আছে। অভার থিংকিং আপনার মস্তিষ্কে নিষ্ক্রিয় করে দেয়। অবাক করার কথা হলো, এই অভার থিংকিং এর কমান্ডার আপনি নিজেই। তাই অতিরিক্ত চিন্তা করা বন্ধ করুন। 

 

৭। সবাইকে খুশি করার চেষ্টা-

 

আপনি কি অন্যদের খুশি করতে খুব ভালোবাসেন? হ্যা এটা অনেক ভালো গুন কিন্তু অপরকে খুশি করতে গিয়ে নিজের সময় ও শান্তি নষ্ট করা মস্তিষ্ককে দুর্বল করার অন্যতম একটি অভ্যাস। এদিকে নিজের জীবনের বারোটা বেজে আছে, নিজের জীবনই ঠিকভাবে চলছে না আর অপদিকে আপনি অন্যকে খুশি করার চেষ্টা করছেন, এই ভয়ানক অভ্যাসটি, খুব ভয়ানক ভাবে আপনার মস্তিষ্ক এবং আপনার সৃজনশীলতাকে নষ্ট করে দিচ্ছে। তাই অন্যকে ইমপ্রেস কিম্বা খুশি করার জন্য নিজের সময়কে নষ্ট করবেন না।


৮। মোবাইল ফোনের নেশা-

 

আমাদের পৃথিবীতে ডিস্ট্রাকশন এর অভাব নেই। লক্ষ লক্ষ ডিস্ট্রাকশন আছে পৃথিবীতে। আর এর মধ্যে সবথেকে বড় ডিস্ট্রাকশন হলো আপনার মোবাইল ফোনটি। সকালবেলা ফোন হাতে নিয়ে ডাটা কানেকশন অন করার পর নোটিফিকেশন নামক ডিস্ট্রাকশন আপনার সারা দিনকে নষ্ট করার ক্ষমতা রাখে। এজন্য একটি লিমিটে আপনার প্রয়োজনে মোবাইল ফোন ব্যাবহার করুন। মোবাইল ফোন যেন আপনাকে ব্যাবহার করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখুন এবং সচেতন হন।

 

৯। রাগ- 

 

আমাদের জীবনে শুক্তির অনুভব তখনই হয় আর প্রয়োজন তখনই পরে যখন রাগের জন্ম হয়। নিজেকে বুদ্ধিমান, শক্তিশালী, জ্ঞানী, অভিমানী তখনই মনেহয় যখন রাগ আসে। কিন্তু চরমসত্য হলো এইযে, আপনি যতবেশি রাগ করবেন তত বেশি আপনার বুদ্ধিভ্রষ্ট হতে থাকবে। আর যতই নিজের মস্তিষ্ককে ঠান্ডা রাখবেন ততই বুদ্ধিমান আপনি হতে থাকবেন। রাগ এবং অভিমান এই দুটি এমন গুন যা মানুষের বুদ্ধিকেই নয় মানুষের জীবন কেও নষ্ট করে দেয়।

 

১০। উপরের প্রত্যেকটি নিয়ম মানা-

 

উপরের সবকিছু যদি সুন্দর ভাবে মেনে না চলেন তাহলে আজই এসব মেনে চলতে শুরু করুন। এটই হলো আমাদের দশ নাম্বার অভ্যাস। এসব নিয়ম মেনে চলতে পারলে আপনার মস্তিষ্কের ক্ষমতা অনেক গুন বৃদ্ধি পাবে যার ফলে আপনি আপনার জীবনে সক্ষম ভাবে সফলতার দিকে এগিয়ে যেতে পারবেন।

 

4000 ঘন্টা ওয়াচটাইম ছাড়াই মনিটাইজ করুন ইউটিউব চ্যানেল

0
4000 ঘন্টা ওয়াচটাইম ছাড়াই মনিটাইজ করুন ইউটিউব চ্যানেল

আপনারা সবাই জানেন, ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন করতে আগে ১০০০ সাবস্ক্রাইবার আর ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচটাইম লাগতো। এটা করতে হতো 1 বছরের মধ্যে। কিন্তু এই বিষয়টা পুরোটা চেঞ্জ হয়ে গেছে। 

 

আপনার 1 হাজার সাবস্ক্রাইবার লাগবে, এটা সাধারণভাবে যে কেউ কমপ্লিট করতে পারবে। কিন্তু আমাদের যেখানে সমস্যায় সমস্যা হচ্ছে ওয়াচ টাইম। আপনি কিন্তু সহজেই আপনার ৪০০০ ঘন্টা পূরণ করতে পারবেন না। তাহলে,

 

কিভাবে মনিটাইজেশন চালু করবেন? 

 

হ্যাঁ, তাহলে এটা নিয়ে আলোচনা শুরু করা।

 

প্রথমত, ইউটিউব এবার যে আপডেট নিয়ে এসেছে তা হল, 

যে কোনও শর্টস ভিডিওতে আপনার ১০ মিলিয়ন ভিউ পেতে হবে। আর তা গত ৯০ দিনের মধ্যে, মানে তিন মাসের মধ্যে।

 

১০ মিলিয়ন আপনার কাছে অনেক মনে হতে পারে। কিন্তু শর্টস ভিডিওতে তা কিছুই নয়। ভাইরাল হওয়া ভিডিও থাকলেই যথেষ্ট। একটি ভাইরাল শর্টস ভিডিও ৩০ থেকে ৪০ মিলিয়ন ভিউ পায়। 

 

সেই অনুযায়ী ১০ মিলিয়ন কিছুই নয়। আপনি এটি করতে ৯০ দিন সময় পাবেন। আপনি যদি ১০ মিলিয়ন ভিউ পেতে পারেন, তবে আপনার 4000 ঘন্টা ওয়াচ টাইম লাগবে না এবং যখন আপনি 10 মিলিয়ন ভিউয়ে পৌঁছে যাবেন, তখন আপনার শর্টস ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখা শুরু হবে।

 

ইউটিউবে দুই ধরনের চ্যানেল আছে। প্রথমটি শর্টস ভিডিও চ্যানেল এবং দ্বিতীয়টি লং ভিডিও চ্যানেল। আমি যে নিয়ম বলেছি তা হল, শর্টস ভিডিও চ্যানেলের। তাহলে, 

 

কিভাবে লং ভিডিও চ্যানেলে মনিটাইজ চালু করবেন?

 

আপনি যদি আপনার দীর্ঘ ভিডিও চ্যানেল মনিটাইজ করতে চান, তাহলে শর্টস ভিডিও ছাড়াই শুরু করুন। কারণ যখন আপনার শর্টস ভিডিও মনিটাইজ করা হয়, আপনার দীর্ঘ ভিডিও স্বয়ংক্রিয়ভাবে যুক্ত হয়ে যাবে। তাহলে আপনি শর্টস ভিডিওর পরিবর্তে লং ভিডিও আপলোড করা শুরু করবেন। 

 

ইউটিউব নিয়ে আসছে নিজস্ব মিউজিক, যা কাজে লাগবে আপনার ভিডিও বানাতে। আপনি যখন কোনো হলিউড মিউজিক বা সাধারণভাবে সাধারণ মিউজিক ব্যবহার করেন, আপনার ভিডিও কপিরাইট করা হয়। 

 

এই সমস্যা এড়াতে ইউটিউব একটি নতুন ফিচার চালু করেছে। আর তা হল, আপনি আপনার প্রয়োজনীয় গানটি কিছু টাকায় বিনিময়ে কিনতে পারবেন। আর যদি কিনতে না চান, তাহলে ইউটিউব লাইব্রেরিতে অনেক গান ও মিউজিক পাবেন, যেগুলো ব্যবহার করে আপনি ছোট ছোট ভিডিও বানাতে পারবেন।

 

এখন কথা হচ্ছে কে কত টাকা পাবে?
ছোট ভিডিওর ক্ষেত্রে, YouTube ৫৫% নেবে এবং আপনাকে 45% দেবে। যদি আমরা দীর্ঘ ভিডিওর কথা বলি, তবে এটি ঠিক বিপরীত হবে। তারপর আপনি পাবেন ৫৫% এবং ইউটিউব নিবে 45%।

 

তাই, এখন আপনার কাছে ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজ করার দুটি বিকল্প রয়েছে। 

 

প্রথমটি, এক বছরের মধ্যে 1 হাজার গ্রাহক এবং 4000 ঘন্টা ওয়াচটাইম।
এবং দ্বিতীয়টি, ১০০০ গ্রাহক এবং ১০ মিলিয়ন শর্টস ভিডিও ভিউ। 

 

আপনাকে এক বছরের মধ্যে 1000 গ্রাহক এবং 90 দিনের মধ্যে 10 মিলিয়ন শট ভিউ পেতে হবে।